সূর্যের করোনার সুপারসনিক প্রসারণের কারণে সূর্য থেকে সেকেন্ডে প্রায় ৫০০ কিমি বেগ এক ধরনের পরিবাহী প্লাজমা বের হয় যার নাম সোলার উইন্ড। সৌরজগতের ইন্টারপ্ল্যানেটারি মিডিয়ামে ছড়িয়ে পড়া এই উইন্ড মূলত ইলেক্ট্রন ও প্রোটন দিয়ে তৈরি, কিন্তু এতে ৫% হিলিয়াম আয়নও থাকে। এই প্লাজমার কন্ডাক্টিভিটি অনেক বেশি হওয়ার কারণে সূর্যের ম্যাগ্নেটিক ফিল্ড এর মধ্যে ফ্রিজ হয়ে যায়, অনেকটা সুপারকন্ডাক্টরের মতো।
পৃথিবীর আশপাশে সোলার উইন্ডে ইলেক্ট্রনের নাম্বার ডেন্সিটি প্রতি সিসিতে প্রায় ৫, আর টেম্পারেচার আনুমানিক ১ লাখ কেলভিন। আর ইন্টারপ্ল্যানেটারি ম্যাগ্নেটিক ফিল্ডের গড় শক্তি আনুমানিক ৫ ন্যানোটেসলা।
সোলার উইন্ড পৃথিবীর ডাইপোলার ম্যাগ্নেটিক ফিল্ডের কাছে আসলে তা সরাসরি ভেদ করতে পারে না, স্লো হয়ে পৃথিবীর ম্যাগ্নেটোস্ফিয়ারের ধার ঘেঁষে প্রবাহিত হয় যা উপরের ফিগারে দেখানো হয়েছে। সোলার উইন্ডের সুপারসনিক স্পিডের কারণে তখন একটা বো শক তৈরি হয়, যেখানে পার্টিকেলের কাইনেটিক এনার্জির একটা বড় অংশ থার্মাল এনার্জিতে রূপান্তরিত হয়। বো শকের পিছনে যেখানে থার্মালাইজড সাবসনিক প্লাজমা থাকে তার নাম ম্যাগ্নেটোশিথ। সোলার উইন্ডের তুলনায় এখানে পার্টিকেলের টেম্পারেচার ও ডেন্সিটি বেশি, এবং ম্যাগ্নেটিক ফিল্ডের শক্তিও বেশি।